নিরাপত্তা জোরদারে এসসিও সম্মেলনে পুতিন ও শি’র বৈঠক

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বুধবার আঞ্চলিক সংস্থার শীর্ষ সম্মেলনে তাদের ইউরেশীয় নিরাপত্তা ক্লাবকে বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার জন্য একটি শক্তি হিসাবে প্রশংসা করেছেন, যা মস্কো এবং বেইজিং পশ্চিমা প্রভাব মোকাবেলার একটি হাতিয়ার হিসাবে দেখছে।

পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট ২০০১ সালে রাশিয়া, চীন ও মধ্য এশিয়ার দেশগুলোকে নিয়ে প্রতিষ্ঠিত সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) সম্প্রসারণ করে ভারত, ইরান ও পাকিস্তানকে পশ্চিমাদের পাল্টা শক্তি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছেন।

মস্কো ও বেইজিংয়ের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ইতিহাসের সেরা পর্যায়ে রয়েছে উল্লেখ করে পুতিন বলেন, ‘সংস্থাটি একটি ন্যায্য, বহুমেরু বিশ্ব ব্যবস্থার অন্যতম প্রধান স্তম্ভ হিসেবে নিজেকে দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

পুতিন বলেন, ‘আমাদের সহযোগিতা কারো বিরুদ্ধে নয়, আমরা কোনো জোট বা জোট তৈরি করছি না, আমরা শুধু আমাদের জনগণের স্বার্থে কাজ করছি।

উদ্বোধনী বক্তব্যে শি পুতিনকে বলেন, ‘সদা পরিবর্তনশীল আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির’ প্রতিক্রিয়ায় চীন ও রাশিয়ার উচিত ‘প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বন্ধুত্বের মূল আকাঙ্ক্ষা সমুন্নত রাখা’।

পুতিনকে ‘পুরনো বন্ধু’ অভিহিত করে শি ‘দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের পরবর্তী উন্নয়নে পরিকল্পনা ও ব্যবস্থা’ বাস্তবায়নে দুই দেশের অগ্রগতির দিকে ইঙ্গিত করেন।

ক্রেমলিন জানিয়েছে, কাজাখস্তানের রাজধানী আস্তানায় এসসিও সম্মেলনের ফাঁকে পুতিন একাধিক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছেন।

এসসিও মাদক পাচারের মতো বাহ্যিক সুরক্ষা হুমকির বিষয়ে সাধারণ পদ্ধতির প্রচার করে এবং যে কোনও অভ্যন্তরীণ অস্থিতিশীলতা মোকাবেলায় কাজ করে।