বাংলাদেশে বন্যায় নিহত ৮, ক্ষতিগ্রস্ত ২০ লাখ

বাংলাদেশীর উততরাঞ্চলে বর্ষণে প্রধান প্রধান নদ-নদীগুলোর তীর ভেঙে চলতি সপ্তাহে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে আটজনে দাঁড়িয়েছে।
শত শত নদী বেষ্টিত ১৭ কোটি মানুষের এই দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে সাম্প্রতিক দশকগুলোতে ঘন ঘন বন্যা দেখা গেছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বৃষ্টিপাত আরও অনিয়মিত হয়ে পড়েছে এবং উজানে হিমবাহ গলে যাচ্ছে।
উত্তরাঞ্চলীয় শাহজাদুর শহরের পুলিশ প্রধান সবুজ রানা বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, বন্যার পানিতে নৌকা ডুবে দুই কিশোর নিহত হয়েছে।

স্থানীয় দুর্যোগ ও ত্রাণ কর্মকর্তা আব্দুল হাই বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কুড়িগ্রাম জেলার নয়টি গ্রামের মধ্যে আটটি শহর বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।
“আমরা এখানে বন্যার সাথে বসবাস করছি। কিন্তু এ বছর পানি অনেক বেশি। তিন দিনে ব্রহ্মপুত্রের উচ্চতা ছয় থেকে আট ফুট (দুই থেকে আড়াই মিটার) বেড়েছে,” এএফপিকে বলেন স্থানীয় কাউন্সিলর আবদুল গফুর।
তিনি বলেন, বন্যার পানিতে আমার এলাকার ৮০ শতাংশের বেশি ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে। আমরা চেষ্টা করছি খাবার বিশেষ করে চাল ও ভোজ্যতেল পৌঁছে দিতে। কিন্তু পানীয় জলের সঙ্কট দেখা দিয়েছে।
বাংলাদেশ বার্ষিক গ্রীষ্মকালীন বর্ষার মাঝামাঝি সময়ে রয়েছে, যা দক্ষিণ এশিয়ার বার্ষিক বৃষ্টিপাতের ৭০-৮০ শতাংশ নিয়ে আসে, পাশাপাশি বন্যা ও ভূমিধসের কারণে নিয়মিত মৃত্যু ও ধ্বংস নিয়ে আসে।
বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া কঠিন এবং এর তারতম্যও যথেষ্ট হয়, তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন যে জলবায়ু পরিবর্তন বর্ষাকে আরও শক্তিশালী এবং আরও অনিয়মিত করে তুলছে।