‘বন্ধু’ শেখ হাসিনার অস্থিরতা মোকাবেলা ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে ভারত

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভারতের নিরাপত্তা উদ্বেগের বিষয়ে যথেষ্ঠ সংবেদনশীল। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে, দিল্লি এই দূর্দিনে শেখ হাসিনার পাশে দাঁড়ানো বেছে নিয়েছে। সরকারি চাকরিতে কোটাভিত্তিক সংরক্ষণ পুনর্বহালকে কেন্দ্র করে যে সহিংস অস্থিরতা বিরাজ করছে, সেখানকার পরিস্থিতি ভারত গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। গত মাসে আদালতের এক রায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২০১৮ সালে বাতিল করা কোটা ফিরিয়ে আনার পর অস্থিরতা আরও বেড়ে যায়। শিক্ষার্থীরা পুনর্বহালের বিরোধিতা করছে, কারণ তারা বিশ্বাস করে যে এটি শাসক দলের ঘনিষ্ঠদেরই কেবল উপকার করে এবং এটি অন্যায়।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাদের উত্তরাধিকারীদের কোটা ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশে নামিয়ে আনে, যার ফলে বিক্ষোভ ও কারফিউ দেখা দেয়। বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকা ভারত এই অস্থিরতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে শান্তিপূর্ণ পরিধি চায়। ভারত উদ্বিগ্ন যে বাংলাদেশের অস্থিতিশীলতা সীমান্তবর্তী ভারতীয় রাজ্যগুলিতে ছড়িয়ে পড়তে পারে, যা ইতিমধ্যে বিদ্রোহের ঝুঁকিতে রয়েছে।
শান্তিপূর্ণ সীমান্ত নিশ্চিত করতে এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়াতে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতে ভারত ব্যাপক বিনিয়োগ করেছে। ভারত বাংলাদেশকে উল্লেখযোগ্য উন্নয়নমূলক সহায়তা দিয়েছে এবং তার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অর্থনৈতিক একীকরণ সহজতর করার জন্য এই অঞ্চলে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ভূমিকা রেখেছে। শেখ হাসিনার সরকার ভারতের নিরাপত্তা উদ্বেগের বিষয়ে সংবেদনশীল এবং তার সরকারের যে কোনও দুর্বলতা ভারতীয় স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। অধিকন্তু, ভারতের ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল এবং অ্যাক্ট ইস্ট নীতির জন্য বাংলাদেশকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয় এবং বিরোধী চ্যালেঞ্জের মুখে ভারত ধারাবাহিকভাবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে সমর্থন করে আসছে।