পশ্চিমবঙ্গে বাড়ছে আত্মহত্যার প্রবণতা, অবিলম্বে পদক্ষেপের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

পড়াশোনা থেকে শুরু করে বৈবাহিক বা পারিবারিক সম্পর্কের চাপে মানসিক সমস্যা বাড়ছে। সময়মতো কেরিয়ার গড়তে না পেরে বা দাম্পত্য সমস্যার ফলে অনেকেই প্রবল মানসিক চাপে ভুগছেন। সেই চাপ অসহ্য হওয়ায় আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন বহু মানুষ। যাদের বয়স ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, তাদের সমস্যা বেশি। শুধু তাই নয়, এই প্রবণতা পশ্চিমবঙ্গে সম্প্রতি আরও অনেকটাই বেড়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। আর তাই আত্মহত্যা প্রতিরোধে রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ দপ্তরকে অবিলম্বে পদক্ষেপের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সম্প্রতি এনিয়ে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলায় আগামী ৬ সপ্তাহের মধ্যে মামলাকারীর বক্তব্য শুনে পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। ‘মেন্টাল হেলথ কেয়ার অ্যাক্ট’ নামে ২০১৭ সালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক যে আইন তৈরি করে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সেই আইন কার্যকর করতে তেমন উদ্যোগ চোখে পড়ছে না বলে অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন সুরেশকুমার সাহু নামে একজন আইনজীবী। সেই মামলাতেই এই নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মামলাকারী আরও জানান, অনেক ছাত্রছাত্রী বৈবাহিক সম্পর্কের কারণে বা অন্যান্য পারিবারিক সমস্যায় জর্জরিত থাকেন।
অন্য কোনওভাবে তাঁদের মানসিক স্বাস্থ্য ভেঙে পড়ার আশঙ্কাও থাকে। তাদের জন্য আরও বেশি করে চিকিৎসা কেন্দ্র তৈরি করুক। এতে রাজ্যের যুক্তি, তারা ইতিমধ্যেই একাধিক পদক্ষেপ করেছে। একাধিক হাসপাতালে মানসিক চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। রয়েছে টোল-ফ্রি নম্বর। তাছাড়া মেডিক্যাল পড়ুয়াদের ট্রেনিং দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হয়েছে আত্মহত্যা প্রতিরোধ করতে।মামলার শুনানি চলাকালীন এই প্রবণতা যাতে কমানো যায়, তার জন্য বিভিন্ন বেসরকারি উদ্যোগে জোর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে আদালত। পর্যবেক্ষণ, আত্মহত্যার মতো ঘটনা আটকাতে সংবাদমাধ্যমকেও এগিয়ে আসতে হবে।