পুলিশের ‘ব্লক রেইডে’ গণ-গ্রেফতার, নিখোঁজ, রিমান্ডে নির্যাতনসহ যত অভিযোগ

image

মিরপুরে একটি রেস্টুরেন্টের শ্রমিক শাওন হাওলাদার। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চলমান অভিযানে তিনি আটক হন নিজ বাসার সামনে থেকে। আটকের পর সিএমএম আদালতে হাজির করা হয় তাকে।

পুলিশ সদস্যরা যখন হাতকড়া পরানো অবস্থায় শাওন হাওলাদারকে আদালত ভবনে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন তিন বছরের শিশু কন্যাকে নিয়ে পেছনে পেছনে দৌড়াচ্ছিলেন তার স্ত্রী সুমাইয়া খাতুন। স্বামী, স্ত্রী এবং সন্তান-তিনজনই কাঁদছিলেন উচ্চস্বরে।

“মিরপুরে যখন মারামারি হইছিলো, আমার স্বামী মোবাইলে ভিডিও করছে। এর দুই দিন পর বাড়ির সামনে ওরে দেইখ্যা পুলিশ ডাক দিছে। মোবাইল সার্চ কইরা যখন ভিডিওগুলো দেখছে, ওরে ধইরা নিছে।”

কান্নাজড়িত কণ্ঠে বিবিসিকে বলছিলেন সুমাইয়া খাতুন। তার দাবি, তার স্বামী কোনো ‘গণ্ডগোলে’ ছিলেন না।

“তার একটা পা ভাঙ্গা। ঠিকমতো হাটতে পারে না। সে ক্যামনে মারামারি করবে? তারে ক্যান পুলিশ আটকাইলো?” প্রশ্ন সুমাইয়ার।

বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যে ধরপাকড় শুরু করেছে, সেখানে দশ হাজারেরও বেশি মানুষ আটক হয়েছেন বলে খবর দিচ্ছে গণমাধ্যমগুলো।

অভিযোগ উঠছে, মধ্যরাতের এসব ব্লক রেইডে ‘নির্বিচারে’ আটকের শিকার হচ্ছেন অনেকে। এছাড়া আটকের পর নিখোঁজ থাকা এমনকি রিমাণ্ডে নির্যাতনের মতো মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।